প্রায় দ্বাদশ শতাব্দিতে রাজা পদ্মনাভ প্রজাদের জলকষ্ট নিবারণের জন্য গ্রামের মধ্য ভাগে ঐ দিঘীটি খনন করেন। এ দিঘী খননের পর পানি না উঠায় স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে রাজা পদ্মনাভের স্ত্রী রাণী কমলাবতী আত্ম বিসর্জণ দেন বলে একটি উপাখ্যান এ অঞ্চলে প্রচলিত আছে। এ জন্য এ দিঘীকে কমলা রাণীর দিঘীও বলা হয়ে থাকে। এ দিঘী নিয়ে বাংলা সিনেমাসহ রেডিও মঞ্চ নাটক রচিত হয়েছে। এর পাড়ে বসে পল্লী কবি জসিম উদ্দিন ‘রাণী কমলাবতীর দিঘী’ নামে একটি কবিতা রচনা করেছিলেন। সে কবিতাটি তাঁর ‘সূচয়নী’ কাব্য গ্রনে' অন-র্ভূক্ত রয়েছে। এ দিঘীটি বাংলা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বলে খ্যাতি রয়েছে। ১৯৮৬ সালে দিঘীটি পুনঃ খনন করান তৎকালীন মৎস্য ও পশুপালন মন্ত্রী সিরাজুল হোসেন খাঁন। বর্তমানে ৬৬.০০ একর জায়গা নিয়ে দিঘীটি বিস-ৃত। তম্মধ্যে জল সীমানা রয়েছে ৪০.০০ একর এবং চার পাড় মিলে রয়েছে ২৬.০০ একর। ঐ চার পাড়ে দিনাজপুরের রাম সাগরের আদলে পর্যটন পার্ক তৈরী করা হলে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলে অনেক পর্যটকই মতামত রেখে থাকেন। বর্তমানে এ দিঘীটি সরকার মৎস্য চাষের আওতায় এনে লীজ নিয়ে বছরে উল্লেখ যোগ্য পরিমাণ রাজস্ব আয় করছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS